আজ বুধবার, ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রোজার দ্বিতীয় দিনে ভয়াবহ যানজটে নাকাল না’গঞ্জবাসী

ভয়াবহ যানজটে নাকাল

ভয়াবহ যানজটে নাকাল

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জ নগরীর বঙ্গবন্ধু সড়কের নিতাইগঞ্জ থেকে চাষাড়া পযন্ত প্রতিদিন ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। শুধু শহরের মধ্যেই যানজট সিমাবদ্ধ থাকেনি। মাসদাইর থেকে পঞ্চবটি মোড় পর্যন্ত দীর্ঘ যানজটে নাকাল হতে হয়েছে যাত্রী সাধারনকে। সকাল থেকে রাত পযন্ত যানজটে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন নগরীর বাসিন্দারা। সকাল থেকে নগরীর প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট। বেলার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে একদিকে যানজট দীর্ঘ হয় অন্যদিকে দূর্ভোগের পাল্লা ভারী হতে থাকে।
নিতাইগঞ্জ থেকে শুরু করে চাষাড়া পর্যন্ত যানজটের ফলে আশেপাশে ছোট বড় রাস্তাগুলোতেও যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। দিনভরই চাষাড়া গোলচত্তর থেকে মিশনপাড়া, জামতলা, কালিরবাজার ব্যাংকের মোড় পযন্ত যানজট বিস্তৃতি লাভ করে। প্রধান সড়কের যানজট এড়াতে অনেকেই গলির রাস্তাগুলো দিয়ে যাতায়াত শুরু করে। অনেকে পায়ে হেটে গন্তব্যে গিয়েছে। যানজট নিরসনে এমপি শামীম ওসমানের নির্দেশে ছাত্রলীগ মাঠে নামে। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। অব্যাহত যানজট নিরসনে শনিবার দুপুর দুইটা পর্যন্ত মাঠে ছিল রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির তরুনরা। কোন কিছুতেই যেন ঠেকানো যাচ্ছেনা যানজটকে।
শনিবার (১৯ মে) সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, প্রধান সড়কের যানজটের ফলে আশেপাশে ছোট বড় রাস্তাগুলোতেও যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
জ্যামে আটকে থাকা অভি দাস বলেন, প্রশাসন চাইলে অনেক কিছুই করতে পারে। আইভি ম্যাডাম চাইলেই এই যানজট সমস্যা সমাধান করতে পারেন। এই যে জ্যামে পড়ে আছি। এমনিতে ডায়বেটিকের রোগী, তার উপর তীব্র গরম। নাজেহাল অবস্থা।
নগরীর প্রাণকেন্দ্র চাষাঢ়া। যার পাশেই আছে সকাল থেকে যানজটের ফলে ভোগান্তিতে পরে যাত্রী সাধারন। দীর্ঘ যানজটের ফলে কোন রিকশা পাওয়া যায়নি। আর পাওয়া গেলেও অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে।
বিন্তি জাহান বলেন, যানজটের কারণে ১ ঘন্টা ধরে রিকশায় বসে আছি। যেতেও পারছি না হেটে যে যাব তার ও উপায় নেই। প্রশাসন তো কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছে না। আমরা সাধারণ মানুষ শুধু জ্যামেই পড়ছি । এতে আমাদের ভোগান্তি আরো বাড়ছে তার মধ্যে রোজা। তার উপর তীব্র গরম নাজেহাল অবস্থা।
ঘন্টার পর ঘন্টা জ্যামে আটকে থেকে নগরবাসীর নাভিশ্বাস উঠেছে। এক প্রকার ভেঙে পরেছে ট্রাফিক ব্যবস্থা। ট্রাফিক পুলিশের দাবি, লোকবল সঙ্কট এবং সড়ক সংস্কারের কারণে ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষা করা যাচ্ছে না।
গত কয়েকদিন ধরে নারায়নগঞ্জের মূল সড়কগুলোতে তীব যানজট দেখা যাচ্ছে। তার পাশাপাশি অন্যান্য সড়কগুলোতে দেখা যাচ্ছে। যানজটের কারনে নারায়নগঞ্জবাসীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
সকাল থেকে ২নং রেলগেইট থেকে শুরু করে চাষাড়া লিংক রোড পর্যন্ত তীব্র যানজট। আর যানজট তীব্র হওয়ার কারনে ট্রাফিক পুলিশ ও নিয়ন্ত্রনে আনতে পারছে না। দেখা যায় চাষাড়া গোল চত্ত্বরসহ আশেপাশের রাস্তাগুলো যানজটের তীব্র আকার ধারন করেছে। সকাল থেকে এই যানজট চলে সারাদিন লাগিয়ে।
কালীরবাজার ব্যাংকের মোড়ে কথা হয় মহসিন আহমেদ নামক এক চাকুরিজীবির সাথে। তিনি বলেন, রমজানে এমন জ্যাম ভালো লাগেনি। দুপুর ১২টা থেকে একঘন্টা যাবত জ্যামে বসে আছি। শিবু মার্কেট যাবো। সাথে এতোগুলো জিনিস না থাকলে হেটেই চলে যেতাম। রিকশা আগায় না। তিনি বলেন, এভাবে যদি যানজট লেগে থাকে তাহলে আর বাসা থেকে বের হওয়া লাগবেনা।
উকিল পাড়া মোড়ে রিক্সার যাত্রী সেলিনা আক্তার বলেন, প্রতিদিন যদি এমন যানজট থাকে তাহলে আর অন্য কোন কাজ করতে হবে না। রাস্তায়ই চলে যায় দিনের বেশিরভাগ সময়। যানজটের কারনে ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে আমাদের। সঠিক সময়ে কোন কাজ করতে পারছি না। যানজট এখন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে পড়েছে।